কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গঠিত নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি সংসদীয় আসন- ৭৭, কুষ্টিয়া-৩ এ ৩জন এবং সংসদীয় আসন-৭৮ কুষ্টিয়া-৪ অঞ্চলের দুই ২জনসহ প্রত্যেককে পৃথক ভাবে প্রেরিত অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ কারন দর্শানো নোটিশের জবাব দিয়েছেন বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া-৩ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু তার লিখিত বক্তব্যসহ সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাযহারুল ইসলামের এজলাশে স্বশরীরে হাজির হয়ে অভিযোগের লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন এবং অনুসন্ধান কমিটিকে জানিয়েছেন যে তার বিরুদ্ধে আনীত পৌরসভার গাড়ী ব্যবহার ও পৌর কর্মচারীদের নির্বাচনী কাজে লাগানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
একই সময়ে প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের সমর্থক সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের আ’লীগ সভাপতি মিলন মন্ডল ও ছাত্রলীগ সভাপতি শামীম রুমী দ্বয় তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধাদান ও প্রতিপক্ষের কর্মীদের মারধরের অভিযোগের লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। কমিটি প্রধান লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করত: আচরণ বিধি মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন বলে জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা মিলন মন্ডল।
এছাড়া একই দিনে বেলা ৩টায় সংসদীয় আসন-৭৮, কুষ্টিয়া-৪ অ লের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান সিনিয়র সহকারী জজ এম এ আজহারুল ইসলাম এর আদালতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জর সমর্থক কুমারখালী পৌর মেয়র সামসুজ্জামান অরুন ও প্যানেল মেয়র হারুন অর রশীদ হারুন দ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে শিষ্টাচার বহির্ভূত উস্কানিমূলক বক্তব্যসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল রউফ এর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি প্রদান অভিযোগের লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন কুমারখালী পৌর মেয়র সামসুজ্জামান অরুন। তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য দেখে আগামীতে আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, ‘নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগে বুধবার কুষ্টিয়া-৩ আসনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতা, ও ছাত্রলীগ নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রেরণ করা হয় এবং বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় হাজির হয়ে লিখিত বক্তব্য দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছিলো। একই ভাবে কুষ্টিয়া-৪ কুমারখালী-খোকসা অ লের অনুসন্ধান কমিটি প্রেরিত শো-কজ নোটিশের লিখিত জবাব দিয়েছেন কুমারখালী পৌর মেয়র সামসুজ্জামান অরুন ও প্যানেল মেয়র হারুন অর রশীদ হারুন। সবগুলি লিখিত বক্তব্য দেখে তাদের সকলকেই সতর্কতার সাথে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন আদালত’।